উত্তরের সংবাদ ব্যারাকপুর: কামারহাটির যুবক সৌমেন দাসের মৃত্যূর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলর রুপালি সরকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
মঙ্গলবারেই তৃণমূলের ওই কাউন্সিলর এবং আরও সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৫ই মে সোমবার কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ দেওয়া নিয়ে গন্ডগোল এর জেরে কাউন্সিলর রুপালি সরকারের সঙ্গে একই এলাকার সৌমেন দাস নামে এক যুবকের ঝামেলা বাধে। কাউন্সিলরের লোকজনকে বেধড়ক মারধর করায় তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি ছিল।
মঙ্গলবার ভোরে সৌমেন দাস এর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।তবে কোনরকম গন্ডগোল এড়াবার জন্য আগে থেকেই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করায় ফুঁসছিল এলাকাবাসী। আট অভিযুক্তের গ্রেফতারের ঘটনায় সেই ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। তবে শাসকদলের কাউন্সিলর হওয়ার সুবাদে রুপালির শাস্তি নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
সৌমেন দাসের মৃত্যুর পর থেকেই কাউন্সিলর রুপালির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষোভ। এই বিষয়ে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেছেন, “প্রশাসন নিজের মতো কাজ করবে। সেই কাজে দল হস্তক্ষেপ করবে না। দলের পক্ষ থেকেও বিষয়টির তদন্ত করা হবে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। আর তেমন কিছু করার কারণে যদি কারো মৃত্যু হয় তাহলে অভিযুক্তকে শাস্তি পেতেই হবে।”
উল্লেখ্য, গত ৫ মে সোমবার রাতে কামারহাটি পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেলঘরিয়া বাসুদেবপুর এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত একদল যুবক পাড়ার কয়েকজন দুস্থদের ত্রাণ বিলি করছিল। অভিযোগ, সেই সময় পাড়ার ছেলেদের কাউন্সিলর রুপালী সরকার বলেন, আমি থাকতে তোরা কেন এখানে ত্রান দিচ্ছিস। সৌমেন দাস নামে এক তৃণমূলকর্মী তখন বলেন যে, আমরা নিজেরাই অল্প কিছু জোগাড় করতে পেরেছি তাই সেগুলই বিলি করছি। আপনি যা দেবেন সেটাও ওনাদের কাজে লাগবে।
এই কথা শুনে রেগে গিয়েই কাউন্সিলর রুপালী সরকার সৌমেনের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাতে শুরু করেন, তারপর তার সাথে থাকা ছেলেরা বাঁশ, লাঠি ও রড দিয়ে ব্যপক মারধর করে বলে অভিযোগ করেন সৌমেনের মা অনিতা দাস। তারপর তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
(সৌজন্যে Khas khobor)
0 Comments: